Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

খেলাধুলা ও বিনোদন

প্রাচীন কালথেকেই মেলান্দহে নদী দহের বিল অঞ্চলে নৌকা বাইচ, হাডুডু, কাবাডি, ঘোড় দৌড়, লাঠিখেলা, বর্শা নিক্ষেপ, সাইকেলিং,ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলি খেলা, দৌড়, সাঁতার হোত। আশির দশক ফলুপলঃ ক্রিকেট খেলোয়ার ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুলের একান্ত উদ্যোগ থেকে প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্বনাব বজলুর রহমান ভূঁইয়ারর পৃষ্টপোষকতায় মেলান্দহ সেন্ট্রাল ক্রিকেট ক্লাব (এম.সি.সি ক্লাব)প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৩খ্রিঃ প্রথম বিভাগে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ক্রিকেট খেলা শুরু করে। এশবিংশ শতকে এম.সি.সি.থেকে কিছু খেলোয়ার  মিলেনিয়াম ক্রিকেট ক্লাব গঠন করে ডিউস ক্রিকেটে অংশ নেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধিনে দ্বিতীয় বিভাগে ২০০০খ্রিঃ থেকে। বর্তমানে এমসিসি ক্লাব তৃতীয় বিভাগে জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় খেলছে। ২০০০ খ্রিঃ ডি.এস .এর সভাপতি ও মাননীয় জেলাপ্রশাসক মহোদয় ধ্রুবজ্যোতি ঘোষকে কিংবদন্তী ক্রিকেটার হিসেবে ক্রেস্ট দিয়ে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন। বর্তমানে তিনি একজন মেলান্দহের জনপ্রিয় হোমিও চিকিৎসক, সমাজ সেবক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক, চিত্রকর, ছন্দেঝিনাই লিটিল ম্যাগের সম্পাদক, পর্বতারোহী এবং কবি ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল এমসিসি ক্লাবেরই উদ্যোগে মেলান্দহে ক্রিকেট ডিউস বলে খেলার সূচনা করেন। এবং বাংলাদেশের প্রথম বেসিক এবং এ্যাডভানস প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পর্বতাভিযাত্রী বেসরকারী ভাবে পারিবাড়িক মাউন্টেননীয়ার্স রিং ক্লাব, মেলান্দহ থেকে প্রথম হিমালয়ে ট্রেকিং করে সন্দাকফু-ফালুট এবং তার পুত্র দেবজ্যোতি ঘোষ (বর্তমানে ডাঃ দেবজ্যোতি ঘোষ বি.ডি.এস.পিজিটি-ঢাকা) প্রথম কিশোর যিনি ১২,০০০ফুট উচ্চতায় ১৯৯৫খ্রিঃ সফল অভিযানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বাংলাদেশের মাউন্টেননীয়ার্স রিং ক্লাবটিই প্রথম সঙ্গঠন। সাংগঠনিক সূচনা(১৯৯৫খ্রিঃ)। ২০০৯ সালে পর্বতারোহী  ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গিরিপথ থোরাং লা পাস (১৮,০০০ ফুট/৫৪১৬ মিঃ)  নেপাল হিমালয়ে ১২ জুন ২০০৯ নিঃসঙ্গ ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে প্রথম অতিক্রম করে প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে দুঃসাহসীক নজির স্থাপন করলেন এবং তিনি সে সময়ে অন্নপূর্ণা পর্বত (২৪,৬৮০ফুট) অভিযানে গিয়ে ক্যাম্প ওয়ান পর্যন্ত(১৭,৭১৬ ফুট) পৌঁছানোর গৌরব অর্জণ করেন । সেই সঙ্গে ৩৭৫ কিঃমিঃ হিমালয়ের দূর্গম পথ পায়ে হেঁটে অন্নপূর্ণা ট্রেইলস  সফলতার সঙ্গে একাকী নিঃসঙ্গ ভাবে দুঃসাহসীক ভাবে পরিব্রাজণ করেন প্রথম বাঙালী হিসেবে পর্বতাভিযানের ইতিহাসে এ এক অনন্য এবং গৌরবময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

 

মেলান্দহ-তে সংস্কৃতি মনা মানুষের প্রিয় বিনোদন ছিল যাত্রা, নাটক, পালাগান, বাউল, কীর্ত্তন, পুঁথিপাঠ, পাঁচালী, কবিগান, জারিগান, সারিগান, ভাওয়াইয়া, বারোমাসী, রূপবান গান, ব’ন্যাগান, মুর্শিদীগান, মারফতি গান, পুতুলনাচের ঝুমুর গান, মাইছাল গান, পৌষপিঠার গান, রাখালীগান, পান্ঠিনাচ, সং নাচ/মুখোস নাচ,খেয়াল, ঠুংরী, গজল গান, লালন গীতি,অতুল প্রসাদী গান,শ্যামাসংগীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত,নজরুল সঙ্গীত,আধুনিক,অতি আধুনিক পপ্সঙ্গ,কবিতা পাঠ,কবিতা আবৃত্তি ণৃত্য,বেহালা,দোতারা, এসরাজ,ব্যাঞ্জো,মৃদাঙ্গ-খোল,কর্ত্তাল,ঝাঁজর,ম্যারাকাস,ঢোল,বাঁশী,ব্যান্ড বাদ্য। বর্তমানে সিনেমা,টিভি প্রোগ্রাম ডিজিটাল বিনোদনে ব্যস্ত থাকে মেলান্দহ উপজেলা বাসী। সিনেমা হল/ প্রেক্ষাগৃহ  সর্বমোট ৫-টি মেলান্দহ উপজেলায়।